Skip to main content

Film production steps in bengali চলচ্চিত্র নির্মাণ কৌশলের ধাপ

 চলচ্চিত্র নির্মাণ কৌশলের ধাপ








চলমান চিত্রই হলো চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের প্রভাব এবং প্রচার আধুনিক সমাজে যে কতটা তা না বললেও চলে। চলচ্চিত্র একপ্রকারের দৃশ্যমান বিনোদন মাধ্যম। যেখানে একসঙ্গে দৃশ্য ও শ্রাব্য দুটিই উপভোগ করা যায়। বিনোদন দুনিয়ায় সবচেয়ে দৃঢ় এবং বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যমের মধ্যে চলচ্চিত্রের স্থান শীর্ষে। এই চলচ্চিত্র শব্দটি এসেছে  চলমান চিত্র তথা 'মোশন পিকচার' থেকে। সাধারণত চলচ্চিত্রের ধারণা শুরু হয় ঊনবিংশ শতকের শেষ দিক থেকে। বাংলায় চলচ্চিত্রের প্রতিশব্দ হিসেবে ছায়াছবি, সিনেমা, মুভি বা ফিল্ম শব্দগুলো ব্যবহার করা হয়।

                  একটি চলচ্চিত্রের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যায় হলো চলচ্চিত্র নির্মাণ কৌশল। চলচ্চিত্র নির্মাণ হলো একটি প্রারম্ভিক পর্যায়। কারণ এই নির্মাণ কৌশলের ওপর ভিত্তি করেই একটি পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র তৈরি হয়। চলচ্চিত্র নির্মাণ হলো প্রচুর সময়, ধৈর্য আর অমায়িক পরিশ্রমের একটি পরিনতিমাত্র। একটি চলচ্চিত্র নির্মাণকে তিনটি স্তরে ভাগ করা যায়– ১) প্রি-প্রোডাকশন

           ২) প্রো-প্রোডাকশন

           ৩) পোস্ট-প্রোডাকশনI

সাধারণত দুটি ধরনের ফিল্ম বা চলচ্চিত্র হয়ে থাকে। একটি হলো 'শর্ট ফিল্ম' (৪০ মিনিট বা তার কম সময়ব্যাপ্তির চলচ্চিত্র) এবং 'ফিচার ফিল্ম' (৪০ মিনিটের ঊর্ধ্বে এবং দেড় ঘন্টা থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টার চলচ্চিত্র)। তবে যে কোনো চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রেই এই তিনটি স্তর অনুসরণ করেই নির্মাণ কৌশলটি হয়ে থাকে।


১) প্রি-প্রোডাকশন– চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রথম এবং প্রারম্ভিক ধাপ হলো প্রি-প্রোডাকশন। অর্থাৎ কোনো ছবির শুটিং শুরুর আগে যে সমস্ত কাজগুলি করা হয় সেই কাজসমহুগুলিকে একত্রে প্রি-প্রোডাকশন বলা হয়। এর অন্তর্গত কাজগুলি হলো - চিত্রনাট্য, স্টোরি বোর্ড, বাজেটিং, ছবির স্থান-কাল-পাত্র নির্ণয়, কাস্টিং, শুটিং এর সময় ও স্থান বাছাই।


●চিত্রনাট্য– চলচ্চিত্রের ভাবনা ধরা থাকে চিত্রনাট্যে। পরিচালকের সামগ্রিক পরিকল্পনাকে লিখিতভাবে রাখেন যে পরম্পরায় প্রকৃত অর্থে তাই হলো চিত্রনাট্যের রূপ। চিত্রনাট্যে সাধারণত দৃশ্য ভাবনাকে লিখিতভাবে বর্ণনা করা হয়। চিত্রনাট্যে যে যে বিষয়গুলি উল্লেখ করা থাকে সেগুলি হলো–

  ১) কী কী দৃশ্য থাকবে।

  ২) উক্ত দৃশ্যগুলি কোথায় কোথায় শুট করা হবে।

  ৩) কোন কোন দৃশ্য বাইরে শুট করা হবে।

  ৪) দৃশ্যগুলো দিনের কোন সময়ে শুট করা হবে (সকাল,বিকেল,সন্ধ্যা ইত্যাদি)

  ৫) কোন কোন চরিত্র আছে।

  ৬) চরিত্রের সংলাপ।

  ৭) চরিত্রদের পোশাক।

  ৮) বিভিন্ন props এর বর্ণনা।


● স্টোরি বোর্ড– প্রি-প্রোডাকশনের দ্বিতীয় পর্যায়টি হলো স্টোরি বোর্ড। স্টোরি বোর্ড বলতে সাধারণত বোঝায় চিত্রনাট্যেরই একটি পূর্ণাঙ্গ রূপ। অর্থাৎ চিত্রনাট্যে যেভাবে একজন নির্মাতার ভাবনার বর্ণনা পায়, স্টোরি বোর্ডে সেটি পরিবেশনের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। স্টোরি বোর্ডে চিত্রনাট্যের সংলাপ কী রূপে পরিবেশন করা হবে তারই উদাহরণস্বরূপ এঁকে বোঝানো হয় যাতে শুটিং এর সময় ক্যামেরা ম্যানের উক্ত দৃশ্যটি সম্পর্কে যথার্থ ধারণা তৈরি হয়। এছাড়াও স্টোরি বোর্ডের ভেতরে চরিত্রদের পোশাক, props, তাদের অঙ্গভঙ্গি ক্যামেরার দিক সবকিছু চিত্রের মাধ্যমে বোঝানো হয়।



  






● বাজেটিং– সাধারণত চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য যথাযথ অর্থের যথেষ্ট প্রয়োজন। তাই চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে বাজেটিং এর বিষয়টি মাথায় রেখেই একজন পরিচালক চলচ্চিত্র নির্মাণ কৌশলের দিকে পদক্ষেপ নেন। ছবির লাইটিং, শব্দ গ্রহণের ক্ষমতা, চলচ্চিত্রটিকে সঠিকভাবে সজ্জিত করতে সঠিক বাজেট তৈরি করা উচিত। এই বাজেটের ওপর ভিত্তি করে পরিচালক, সহ পরিচালক ও ডিরেক্টর অব ফোটোগ্রাফি ছবির পরবর্তী কাজে নিয়োজিত হন।


 ●ছবির স্থান-কাল-পাত্র নির্ণয়– সাধারণত একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রথমেই কাহিনী নির্বাচন করতে হয়। এরপর সেই কাহিনীকে চলচ্চিত্রের ভাষায় রূপান্তরিত করা হয়। অর্থাৎ স্ক্রিপ্ট লেখা হয়। এরপরই আসে কাহিনীর উপযুক্ত পটভূমি খুঁজে নেওয়ার পালা অর্থাৎ স্থান। চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে ছবির যথাযথ স্থান বেঁছে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কেননা ছবির দৃশ্যের সাথে উপযুক্ত স্থানের মিল না ঘটলে সেই ছবিটি যথাযথভাবে প্রকাশ পাবে না দর্শকমহলে। যথাযথ লোকেশনে শুট না করলে ছবিটির বাস্তবতাও ভঙ্গ হতে পারে। তাই ছবির স্থান সঠিকভাবে বাছাই করে তাকে ফ্রেমবন্দি করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।


●কাস্টিং– চলচ্চিত্র নির্মানে কাস্টিং এর বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ চরিত্রের ভূমিকা পালন করার জন্য চাই মনের মতো অভিনেতা বা অভিনেত্রীর। যিনি তার ব্যক্তিগত সত্তার বাইরে এসে একটি চরিত্রকে আপন করে নিতে পারেন। তাই এক্ষেত্রে অভিনেতা-অভিনেত্রী নির্বাচন করতে হয়। কাস্টিং এ এমন কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রী বাছাই করা উচিত যারা চরিত্রের চারিত্রিক দিকগুলি তুলে ধরতে পারেন। এবং তাদের অভিনয়ে যেনো সকলকে মুগ্ধ করে তোলে। প্রত্যেকটি চরিত্রের জন্য আলাদা আলাদা দিনে কাস্টিং করা ভালো।


● শুটিং এর সময় ও স্থানের নির্ণয়– শুটিং এর স্থান নির্বাচনের পর একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় হলো চিত্রনাট্য অনুযায়ী শুটিং স্থানটিকে যথাসম্ভব সাজানো, স্টোরি বোর্ড অনুযায়ী স্থানের আলো, শব্দের আনাগোনা এবং ক্যামেরার নানাদিক তুলে ধরতে হবে। এতে শুটিং এর দিনে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয় না।

                                                   উপরিউক্ত কতগুলো বিষয় ছাড়াও প্রি-প্রোডাকশনের ক্ষেত্রে আরো কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে চলতে হয়। সেগুলি হল–

● লাইটিং এর ব্যবস্থা করা।

● মেক-আপের আয়োজন করা।

● কস্টিউম বা পোশাকের অর্ডার করা।

● শুটিং সেটের সকল কালাকারদের জন্য খাবারের আয়োজন করা।


২) প্রোডাকশন পর্ব– প্রি-প্রোডাকশনের পর শুরু হয় প্রোডাকশন পর্বের কাজ। এখানে মূলত শুটিং পর্ব শুরু হয়। প্রি-প্রোডাকশনে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা রিহার্স করে থাকে। কিন্তু প্রোডাকশন পর্বে তাদের শুটিং সেটে এসে শুট করতে হয়।

                                     এখানে কেবল ক্যামেরাম্যান কিংবা অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরই কাজ থাকে না। বরং ক্যামেরার পেছনের মানুষদের কাজ ও অনেক। লাইটিং সেট করা, মেক-আপের সরঞ্জাম জোগানো, ঘন ঘন কালাকারদের কল দেওয়া, তাদের কস্টিউম ঠিক করা।

                                    একটি দৃশ্য অভিনয়ে সাধারণত নেওয়া হয়ে থাকে অসংখ্য শট তার মধ্যে যথাসম্ভব সঠিক শুটটি বেছে নেন ক্যামেরাম্যান এবং পরিচালক। তাই বারে বারে সঠিক দিকে পর্যবেক্ষণ করে পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে শুটটি করা হয়। তবে চেষ্টা করা হয় নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট শট শেষ করার।


৩) পোস্ট-প্রোডাকশন পর্ব– প্রি-প্রোডাকশন এবং প্রোডাকশনের পরবর্তী পর্ব হল পোস্ট-প্রোডাকশন পর্ব। সাধারণত একটা সময় ছিল যখন শুটিং শেষে এই পর্বে হাত দিতেন চলচ্চিত্র নির্মাতার। তবে আধুনিকতার বেড়াজালে এখন তৎক্ষণাৎ ই এই পর্বের কাজ শুরু করে দেন পরিচালকরা। ছবি শুট করার পর প্রতিটি দৃশ্যের শটগুলো দিনশেষে চলে যায় বিভিন্ন কাজে। এই পর্বের পুরো কাজটিই হয় সাধারণত যান্ত্রিকভাবে। কম্পিউটারের সাহায্যে পুরো কাজটি সম্পন্ন হয়ে থাকে।


● এডিটিং– যেকোনো চলচ্চিত্র নির্মানেই এডিটিং একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানে সাধারণত একজন পরিচালক এবং একজন এডিটরের ক্রিয়াকলাপ প্রকাশ পায়। বিভিন্ন এডিটিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে ছবির শুট করা দৃশ্যগুলি এডিট করা হয়। এখানে ছবির পরিচালকও থাকেন।

                                                  এফেক্ট, সাউন্ড ডিজাইন, সঙ্গীত সবকিছু এই এডিটিং পর্বে যুক্ত করা হয়। এখানে একজন এডিটরের সৃজনশীলতাও ফুটে ওঠে। তাই এই পর্বে একজন পরিচালক এবং একজন এডিটরের সামঞ্জস্যতা খুবই দরকার।


● সঙ্গীত– শব্দ এবং তার যথার্থ প্রয়োগ একটি চলচ্চিত্রের খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সঙ্গীত বলতে এখানে শুধু চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত সঙ্গীতের কথাই হচ্ছে না। বিভিন্ন প্রকারের ভাবের স্বাচ্ছন্দ্যকে বলা হয়। বিভিন্ন ভাব প্রকাশের এক এক ধরনের সুরকে ব্যবহার করেন পরিচালক। দুঃখ-বেদনা বোঝাতে এক ধরনের স্বর, আনন্দ বোঝাতে এক ধরনের স্বর, রোমাঞ্চকর কিছু দৃশ্য বোঝাতে আরেক ধরনের স্বর ব্যবহৃত হয়। এতে দৃশ্যের বাস্তবতা আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। 


● ক্রেডিটিং– ছবি নির্মাণের সর্বশেষ কাজ হলো ক্রেডিট দেওয়া। ছবির অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে শুরু করে ক্যামেরাম্যান, লাইনম্যান, কস্টিউম ডিজাইনার, মেক-আপ আর্টিস্ট সকলের নাম একে একে উল্লেখ করা হয় এই পর্বে। এবং কৃতজ্ঞতা স্বীকার দিয়ে ছবিটির নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়।


● পরিবেশনা– চলচ্চিত্র বানানো হয়ে গেলেই তার কাজ শেষ হয়ে যায় না। এরপরেও মস্ত বড় একটা কাজ পরে থাকে পরিচালকের কাছে। সেটি হলো পরিবেশনা। সঠিক সময়ে দর্শকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহে চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেওয়া হয়। অবশ্য এখন প্রেক্ষাগৃহের পাশাপাশি ডিজিটাল মিডিয়ায় ওসরাসরি চলচ্চিত্রটি পরিবেশনা এবং ডাউনলোডের সুযোগ থাকে।

উপরিউক্ত প্রতিটি ধাপ অনুসরণ করেই একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়ে থাকে। তবে একটি ছবি ভালো হবে কি হবে না তা অনেকাংশেই নির্ভর করে গল্পের মান, চিত্রনাট্যের মান এবং পরিচালকের পারদর্শিতার উপরে।

                                   - Megha De

Comments

Popular posts from this blog

Dominant Paradigm in bengali - উন্নয়নের প্রভাবশালী দৃষ্টান্ত

 উন্নয়নের প্রভাবশালী দৃষ্টান্ত উন্নয়নের পশ্চিমা মডেল  ১৯৫০ এবং ১৯৬০ এর দশকে প্রাধান্য পেয়েছিল।  আধুনিকীকরণের দৃষ্টান্ত ১৯৪৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের খুব শীঘ্রই উত্থিত হয়েছিল। "অনুন্নত দেশগুলিকে" তাদের আধুনিকায়নের মাধ্যমে এবং মুক্ত-বাজারের পদ্ধতির মাধ্যমে দারিদ্র্যের পরিস্থিতি থেকে বের করে আনা একটি চ্যালেঞ্জ হিসাবে উন্নয়নের কল্পনা করেছিল।  এই দৃষ্টান্তের উৎস , নীতি এবং প্রয়োগগুলি উত্তরোত্তর বছরগুলির ঐতিহাসিক প্রসঙ্গ প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করা উচিত, এটি শীত যুদ্ধের সময় হিসাবেও পরিচিত।  সেই ধারাটিতে যখন বিশ্ব প্রভাব দুটি পরাশক্তি দ্বারা পোলারাইজ করা হয়েছিল: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন।  তাদের প্রভাব উন্নয়ন সহ আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে প্রতিটি ক্ষেত্রে পৌঁছেছে।  এই প্রসঙ্গে, পশ্চিমা দেশগুলির রাজনৈতিক বিজ্ঞানী এবং পণ্ডিতদের দ্বারা প্রচারিত আধুনিকীকরণের দৃষ্টান্ত সামাজিক জীবনের প্রতিটি মাত্রায় এতটাই শক্তিশালী এবং এতটাই বিস্তৃত হয়ে উঠল যে এটি "প্রভাবশালী দৃষ্টান্ত" হিসাবেও পরিচিতি লাভ করে।  রজার্স (১৯৬০) এটিকে উন্নয়নের ক্ষেত্রে "প...

French New Wave in Bengali - ফরাসী নবতরঙ্গ

 ফরাসী নবতরঙ্গ :       ফরাসী নিউ ওয়েভ চলচ্চিত্রগুলি চিরকালের জন্য তৈরি করার পদ্ধতিগুলি পরিবর্তন করেছিল এবং আমাদের  সময়ের সেরা কিছু পরিচালককে প্রভাবিত করেছিল। নিউ ওয়েভ একটি ফরাসি আর্ট ফিল্ম আন্দোলন যা ১৯৫০ এর দশকের শেষদিকে উত্থিত হয়েছিল। এৈতিহ্যবাহী চলচ্চিত্র নির্মাণের সম্মেলনগুলি প্রত্যাখ্যান করাই এই আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য ছিল।  নিউ ওয়েভ চলচ্চিত্র নির্মাতারা সম্পাদনা, চাক্ষুষ শৈলী এবং আখ্যান সম্পর্কিত নতুন পদ্ধতির অন্বেষণ করেছিলেন, পাশাপাশি যুগের সামাজিক ও রাজনৈতিক উত্থাপনের সাথে জড়িত হয়ে প্রায়শই বিড়ম্বনা বা অস্তিত্ববাদী বিষয়গুলির অন্বেষণ করে।  নিউ ওয়েভ প্রায়শই চলচ্চিত্রের ইতিহাসের অন্যতম প্রভাবশালী আন্দোলন হিসাবে বিবেচিত হয়। ফরাসী নবতরঙ্গের উৎপত্তি ১৯৪৮ সালের ৩০ শে মার্চ লাক্রানে প্রকাশিত আলেকজান্ড্রে অ্যাস্ট্রিকের ম্যানিফেস্টো "দ্য বার্থ অফ দ্য নিউ  অ্যাভান্ট-গার্ডে: দ্যা ক্যামেরা-স্টাইলো", কিছু ধারণার রূপরেখা প্রকাশ করেছিল যা পরবর্তীতে ফ্রান্সোইস ট্রাফুট  এবং কাহিয়ার্স ডু সিনেমার দ্বারা সম্প্রসারিত হয়েছিল। এটি যুক্তি দেয় যে "চ...