বোম্বে ফিল্মস:
(BOLLYWOOD)
বিশ্বের অন্যতম সবথেকে বড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হলো এই বোম্বে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বা BOLLYWOOD. তবে ভারতীয় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি গুলোর মধ্যে এটি সর্ববৃহৎ। ভারতীয় সিনেমা বা চলচ্চিত্রের জনক হিসেবে যাকে গণ্য করা হয়, তিনি হলেন দাদা সাহেব ফালকে। এবং তাঁর হাত ধরেই শুরু হয় বোম্বে ফিল্ম বা চলচ্চিত্র জগতের যাত্রা। ১৯১৩ খ্রিঃ তাঁর দ্বারা প্রযোজিত ও পরিচালিত সিনেমা রাজা হরিশচন্দ্র এর হাত ধরেই শুরু হয় হয় বোম্বে ফিল্মস এর যাত্রা। এবং যা ছিল ভারতের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য নির্বাক চলচ্চিত্র।
জনপ্রিয়তার বিচারে কে এগিয়ে?
বলিউডের এই প্রাণকেন্দ্র এক প্রকার বলা যেতেই পারে বোম্বাইকে। বলিউডের জনপ্রিয়তা কে যদি হলিউডের সঙ্গে তুলনা করা যায় তবে সেক্ষেত্রে খুব সহজেই বলিউড বাজিমাত করবে। দর্শকদের ভিউ এবং বছরে কটি ছবি প্রথম হচ্ছে এ বিষয়ে ভিত্তি করেই দেখা হয় কে এগিয়ে আছে। যদি এই বিষয়ে লক্ষ্য করে এগোনো যায় দেখা যাবে বছরে প্রায় হাজারটির কিংবা তার বেশি সিনেমা বলিউডে প্রকাশিত হয়ে থাকে । এবং সেক্ষেত্রে দর্শকদেরও সংখ্যা যথেষ্ট বেশি প্রায় তিন বিলিয়ন। যেখানে হলিউডের সিনেমা সংখ্যা( বছরে ) পাঁচশো এবং দর্শকদের সংখ্যা ২.৭ বিলিয়ন (২০১৭/ AEI এর মতের ভিত্তিতে)।
সুতরাং বলা যেতেই পারে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। তবে হলিউড ও এক্ষেত্রে কোনো অংশেই কম নয়।
বলিউড সিনেমা অথবা বোম্বে ফিল্মস :
আমরা এর আগেই বোম্বে ফিল্মস এর যাত্রা কবে বা কার হাত ধরে তৈরি হয়েছিল সেগুলো জেনেছি। এবং তার ইতিহাস ও জানলাম। তবে এবার যে বিষয় জানা প্রয়োজন সেটা হলো ,
বোম্বে ফিল্মস এর জাদু বা কেন এত মাত্রা এটির চাহিদা বেশি দর্শকদের কাছে?
এর উত্তর প্রথম যে শব্দটি আমাদের কানে ভেসে আসবে সেটা হলো গান, গানের জাদু। বলিউডের সিনেমা মানেই সুরেলা কণ্ঠের সমারোহ। এবং বলিউডের সিনেমা বিশেষত্বই হলো এই গান বর্তমান যুগে। সেক্ষেত্রে আইটেম গানের ঝড় ও যথেষ্ট শোরগোল করে ফেলে নিজেকে নিয়ে গোটা বিশ্বে। কখনও সেটা টিকটক এর ট্রেন্ডে ঝড় তোলে কখনও বা সেটা ইনস্টাগ্রাম রিলস্ এ।
তাছাড়াও আর.ডি.বর্মন গানের যাদুকর হিসেবেই পরিচিত এই বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। তাছাড়াও গোটা বিশ্ব তাকে চেনে। কিশোর কুমার, আসা ভোঁসলে , লতা মঙ্গেশকর সবাই এই গানের জগতের সাথে শুধু কেবল যুক্ত বলা ভুল, গোটা বলিউড আজ যদি পৃথিবীর কাছে শ্রেষ্ঠ হয়ে থাকে তার একমাত্র কারণ এনারাই।
প্রযোজক এবং ডিরেক্টর এর ভূমিকা :
বলিউড টিকে থাকার জন্য যা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটা হলো একজন ডাইরেক্টর এর ভূমিকা। একজন ডাইরেক্টর এর ভূমিকা সিনেমার জন্য যথেষ্ট সক্রিয় এবং দায়িত্ববান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। একজন পোক্ত ডিরেক্টর ছাড়া সিনেমা চলা অসম্ভব। তা কেবল বলিউড নয় পৃথিবীর সব কটি ইন্ডাস্ট্রিতেই ।
তা ছাড়াও আরও একজন ছাড়া কোনো সিনেমা চলাতো দূরের কথা, তৈরি হওয়াই সম্ভব নয়। তিনি হলেন প্রযোজক। একজন প্রযোজক এর দেওয়া ফান্ড ছাড়া সিনেমার খরচ চালানো অসম্ভব। এবং যার অভাব অত্যন্ত মুম্বই ইন্ডাস্ট্রিতে নেই।
Yash raj films, Dharma production, Red chillies entertainment, UTV motions pictures, Eros international , balaji motion pictures
এগুলো সব বর্তমান কয়েকটি হাইয়েস্ট প্রোডাকশন হাউজ। যা সম্পূর্ণ ভাবে বোম্বে ফিল্মস এর মধ্যে চুটিয়ে বিজনেস করছেন।
নায়ক-নায়িকার মেলবন্ধন :
বলিউড সিনেমায় নায়ক নায়িকা এর মেলবন্ধন, যা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। সিনেমার গল্প এর ওপর ডিপেন্ড না হলেও দর্শকদের পছন্দের তারকাদের সমাগম হলেই যথেষ্ট। তবে বর্তমান প্রজন্ম অনেকটাই গল্পের ওপর নির্ভর করছে। তাদের কাছে পঙ্কজ ত্রিপাঠী নির্ভর করে কিন্তু গল্প অবশ্যই হতে হবে ওপার থ্রিলার কিংবা সুপার ড্রামাটিক। এগুলো এখন বেশ প্রয়োজন দর্শকদের কাছে।
তাছাড়া পছন্দের তারকাদের সমাগম হলেও বক্স অফিসে ঝড় ওঠেই। আর সেটা যদি সালমান খান এবং কারিনা কাপুর হয় কিংবা হয় কোনো বলিউডের বিখ্যাত জুটি।
আইটেম গানের ঝড় :
যদি আইটেম গানে থাকে নোড়া ফাটেহি তবে এ ক্ষেত্রে বক্স অফিস বাজিমাত তো নিশ্চয়ই, কিন্তু এই আইটেম গানের যাত্রা বহু পুরনো। আগে যেমন হেলেন ছিলেন নাইনটিজের মালাইকা অরোরা, কারিনা এনারা বক্স অফিস বাজিমাত করতেন তাদের আইটেম গানের দ্বারা। বলিউড তাই বিখ্যাত এনাদের আইটেম গান গুলোর জন্য।
এবং যেগুলো কোনো দিনও আর যাই হোক না কেন দর্শকদের কাছে পুরনো হবে না। চাহিদা থাকবে সবসময়ই অনেকটাই বেশি।
গল্পের মান এবং নতুনতুনত্ব :
গল্পের মান হলিউডের মতো না হলেও দর্শক দের কাছে সুপার কমেডি কিংবা সুপার থ্রিলার কিংবা কিংবা ড্রাভাটিক সবটাই নির্ভর যোগ্য। ছবির নতুনত্ব এবং বর্তমানে রিমেকের ছড়াছড়ি দুটিই বিরাজমান এই বলিউডে। সকল দর্শকদের কথা মাথায় রেখেই ছবি নির্মাতারা ছবি বানিয়ে থাকেন। যাতে সকল দর্শকদের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে। পুরাতন ছবি গুলির রিমেক গুলোও যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে দর্শকদের কাছ ।
তবে নতুন গল্প কার না ভালো লাগে ?
সেক্ষেত্রে গল্পে নতুনত্ব সর্বদাই এক আলাদা জায়গা দখল করে থাকে দর্শকদের কাছে।
- Sanny Bag
ভালো লাগল লেখাটা। ভালো হয়েছে ।
ReplyDelete